রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ ভোলায় বিআরটিএ ভোলা সার্কেল অফিসে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষ সেবা নিতে এসে সরকার নির্ধারিত ফির বিপরীতে অতিরিক্ত অনেক টাকা ঘুষ হিসাবে দিতে হচ্ছে।
বাড়তি টাকা না দিলে কাজ হচ্ছে না সাধারণ মানুষের। আর এসব কাজ করে দেওয়ার জন্য বিআরটিএ অফিসে রয়েছে বেশ কয়েক জন দালাল। যারা উক্ত অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়ে কাজ করে।
আর কোন ভাবে কোন ব্যক্তি অফিস আসলেও তার হয়রানীর অন্ত থাকে না। ভুক্ত ভোগীদের দাবি বিআরটিএ অফিস অনিয়ম দুর্নীতি দীর্ঘ দিনের। তবে সম্প্রতি তা আরও বেড়েছে এতে সাধারণ মানুষ ব্যাপক হয়রানির স্বীকার হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোলা বিআরটিএ ভোলা সার্কেল অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য লিখিত পরীক্ষা কথা থাকলেও তা কোন কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পরীক্ষার্থীদের কোন রকম ফোন কিংবা এসএমএস করেও বিষয়টি অবহিত করা হয়নি। এতে ভোগান্তিতে পরেছে বিআরটিএ অধীনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরিক্ষাদিতে আসা পরীক্ষার্থীরা।
ভোলার দক্ষিণ আইচা থেকে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, দালাল ছাড়া সঠিক নিয়মে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার । যার বাস্তব চিত্র হলো টেক্স টোকেন, গাড়ীর রেজিস্ট্রেশনসহ আরও কিছু ফি সহ সর্বসাকুল্যে ১১৩০০ টাকার পরিবর্তে আমাকে এককালীন ১৪৫০০ টাকা দালালকে দিতে হয়েছে। এরপর তিন থেকে চার বার ডিসি অফিসে আসা যাওয়া ও ভোলায় দু, একবার থাকতে হয়েছে। সব মিলিয়ে বিশ হাজার টাকার অধিক আমার খরচ হয়েছে।
এদিকে বিআরটিএ ভোলা সার্কেল অফিস কর্মকর্তার সালাউদ্দিন প্রিন্স এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টায় ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও তা বিশেষ কারনে বন্ধ আছে। পরীক্ষা বন্ধের কথা আমরা সকল পরীক্ষার্থীদের ফোন মেসেজ এর মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি।
Leave a Reply